বাণিজ্য চক্র (Business Cycles)
বাণিজ্য চক্র বলতে অর্থনৈতিক কার্যাবলির ওঠানামাকে বুঝায়। অর্থনৈতিক কাজকর্মের উঠানামা বলতে সমষ্টিগত অর্থনীতির যে সমস্ত পরিবর্তনীয় চলকগুলো আছে তাদের পরিবর্তনকে বুঝায়। এই পরিবর্তনীয় চলকগুলো হলো দেশের মোট উৎপাদন, আয়, নিয়োগ, দামস্তর, মজুরি, সুদ ও মুনাফার হার ইত্যাদি। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় এই সমস্ত উপাদানগুলোর একাধিক ক্রমে উর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি পরিলক্ষিত হয়। দেশে কখনো সমৃদ্ধি দেখা যায় আবার কখনো মন্দা দেখা যায়। অর্থনৈতিক কাজ কর্মের এ ধরনের উঠানামা অনেকটা সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। সুসংগঠিত ধনতান্ত্রিক সমাজে অর্থনৈতিক কার্যাবলির গতি চক্রাকারে পরিবর্তিত হয় বলে একে বাণিজ্য চক্র বলে। একে চক্র বলার কারণ হলো যে এই ওঠানামা মোটামুটি নিয়মিত হয়ে থাকে। অতএব বাণিজ্যচক্র বলতে একটি সময়ব্যাপী (কম বেশি ৬ থেকে ১৩ বছর) ব্যবসা বাণিজ্যের সমৃদ্ধি ও মন্দার, সম্প্রসারণ ও সংকোচনের নিয়মিত আবির্ভাব ও আবর্তনকে বুঝায়। এর ফলে দেশের মোট উৎপাদন, আয়, নিয়োগ, দামস্তর ইত্যাদির নিয়মিত ওঠানামা দেখা দেয়।
বাণিজ্যচক্রের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Trade Cycles)
বাণিজ্যচক্রের কতিপয় বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
১. ধনতান্ত্রিক সমাজের আবির্ভাব ঘটে।
২. নির্দিষ্ট কালে পরপর না হলেও এদের আবির্ভাব কিছু কাল পর নিয়মিতভাবেই ঘটে।
৩. প্রতিটি বাণিজ্য চক্রের চারটি পর্যায় থাকে। যথা:
ক. মন্দা,
খ. পুনরুন্নতি,
গ. সমৃদ্ধি,
ঘ. অবনতি।
৪. প্রথমে কোন একটি ধনতান্ত্রিক দেশে তা দেখা দিয়ে পরে তা অন্যান্য ধনতান্ত্রিক দেশগুলোতে সংক্রামিত হয় ও পরিশেষে সমগ্র ধনতান্ত্রিক দুনিয়াকে গ্রাস করে।
৫. ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থার চক্রাকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন উৎপাদন, দামপ্তর, কর্মসংস্থান প্রভৃতির পরিবর্তন ঘটতে থাকে তেমনি নগদ টাকা, ঋণ ও টাকার প্রচলন বেগের একই রকম পরিবর্তন ঘটে।
৬. কোন ধনতন্ত্রী দেশের কোন একটি শিল্পে বাণিজ্য চক্রে প্রভাব দেখা দিলে ক্রমশ তা অন্যান্য শিল্পেও ছড়িয়ে পড়ে।
৭. ভোগ্যপণ্য শিল্পের তুলনায় পুঁজিদ্রব্য শিল্পের বাণিজ্য চক্রগত পরিবর্তন অনেক বেশি হয়।
৮. যন্ত্র শিল্পজাত পণ্যের দামের তুলনায় কৃষিজাত দ্রব্যের দামে পরিবর্তন তুলনামূলক বেশি হয়।
৯. যাবতীয় আয়ের মধ্যে মুনাফা পরিবর্তন ঘটে সর্বাধিক।
বাণিজ্যচক্রের বিভিন্ন পর্যায় (Phases of a Business Cycle)
বাণিজ্য চক্রের মূলত দুটি পর্যায় আছে। যথা ঊর্ধ্বগতি (upswing) পর্যায় এবং অধোগতি (downswing) পর্যায়। ঊর্ধ্বগতি চক্রের তলদেশ (bottom) থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ শিখরে গিয়ে শেষ হয়। অন্য দিকে, অধোগতি চক্রের সর্বোচ্চ শিখর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী তলদেশে গিয়ে পৌঁছায়। ঊর্ধ্বগতি পর্যায়ের দুটি উপ-পর্যায় আছে পুনরুন্নতি এবং সমৃদ্ধি। অধোগতি পর্যায়ের ও অনুরূপ দুটি উপ-পর্যায় রয়েছে যা অবনতি ও মন্দা। সুতরাং বাণিজ্য চক্রের মোট চারটি পর্যায় রয়েছে যারা হলো- মন্দা, পুনরুতি, সমৃদ্ধি ও অবনতি।
নিচে রেখাচিত্রের সাহায্যে বাণিজ্য চক্রে বিভিন্ন পর্যায়গুলো দেখানো হলো। চিত্রে EG-রেখা দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক বিকাশের পথের ইঙ্গিত দেয়।
১. মন্দা (Depresstion):
ব্যাপক কর্মহীনতা, ভোগ্যপণ্যের চাহিদার অতি নিম্নস্তর, শিল্পে উৎপাদন হ্রাস ও সবিশেষ পরিমাণে অব্যবহৃত উৎপাদন ক্ষমতা, এইগুলো হলো মদার লক্ষণ। এই সাথে মুনাফা কমে এবং লোকসান বাড়ে। দেশে কর্মহীনতা বিপুলভাবে বেড়ে যায়। চাহিদা দ্রুত কমতে থাকায় শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতা অনেকখানি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকে। ব্যবসায়ী নতুন বিনিয়োগ উৎসাহ বোধ করে না বলে কোন নতুন ঝুঁকি নিতে চায় না। ব্যাংক বণ দিতে চাইলেও তারা ঋণ গ্রহণে আগ্রহী হয় না। ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা এইভাবে ক্রমাগত মল্লার চরম অবস্থায় গিয়ে পৌছায়। যদিও মন্দার জীবদ্দশায় কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তথাপি মন্দার মধ্যে পুনরুন্নাতির বীজ সুপ্ত থাকে।
২. পুনরুন্নতি (Recovery of revival):
মন্দা যতই গভীর হোক না কেন, এক সময়ে তা শেষ হয়ে অবস্থার পুনরায় উন্নতি বা পুনরুন্নতি শুরু হয়। যেহেতু মন্দা চিরস্থায়ী নয় সেহেতু ধীরে ধীরে ব্যবসা বাণিজ্যের তথা অর্থনৈতিক অবস্থায় উন্নতি হতে থাকে। প্রথমে দ্রব্যমূল্যের অধোগতি বন্দ হয় এবং তারপর মূল্যস্তরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি ঘটে। এই মূল্য স্তর বৃদ্ধিই সমগ্র অর্থব্যবস্থায় আশার আলো সঞ্চার করে। ব্যবসায়ী মনে হতাশার পরিবর্তে এক ধরনের আশাবাদী মানসিকতার সৃষ্টি করে। তারা উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত হতে থাকে। পরস্পর নির্ভরশীল এই সামজে উৎপাদন বৃদ্ধি দরুন অন্যান্য ব্যববসায়ীরা উপকরণ সংগ্রহের কাজে বের হয়ে পড়ে যাতে মোট উৎপাদন বৃদ্ধি করে জনগণের চাহিদা করা যায়। এই সময়ে উৎপাদনেরও যেমন অল্প-স্বল্প বৃদ্ধি ঘটে। তেমনি নিয়োগ স্তরেও উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, এই সময়ে ব্যাংক ঋণের জন্য ধার্য সুদের হার স্বল্প হওয়ার ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে শুরু করে। বিনিয়োগ বাড়ে, শিল্পের অলস উৎপাদন ক্ষমতা কমতে থাকে। দামস্তরে উর্ধ্বগতি দেখা যায়। শিল্পের মোট উৎপাদন নিয়োগ মুনাফা ইত্যাদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
৩. সমৃদ্ধি (Boom or prosperity) :
পুনরুন্নতি শক্তিগুলো যত শক্তিশালী হয় অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন তত সুদৃঢ় হয়। সমগ্র ব্যবসা জগতে এক অস্বাভাবিক আশাবাদী মনোভাব গড়ে উঠে। নতুন নতুন শিল্প, গৃহ স্থাপিত হয়। ব্যবসা বাণিজ্যের বিপুল সম্প্রসারণ ঘটে। চাহিদা ও ব্যয় বৃদ্ধির ফলে দাম স্তর ও বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ফলে দেশের মোট আয়, নিয়োগ, উৎপাদন ইত্যাদি সর্বোচ্চ সীমায় পৌছায়। কিন্তু দেশ পূর্ণ নিয়োগের স্তরে পৌঁছে গেলে মোট উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু চাহিদা, দামস্তর ও উৎপাদন ব্যয়ের স্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির পথে নানা বাধা বিপত্তি দেখা দিতে পারে। ফলে বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সাধারণভাবে যোগানের তুলনায় চাহিদা অত্যাধিক হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা অনুধাবন করতে শেখে যে তারা নির্দিষ্ট কাম্যসীমা অতিক্রম করেছে এবং তারা তখন সর্বোচ্চ সংযত হতে থাকে। ব্যবসায়ীরদের অতিরিক্ত আশাবাদী মনোভাবই হতাশাবানের জন্ম দেয়। সাধারণত এইভাবে অবনতির পথ প্রশস্ত হয়।
৪. অবনতি (Recession) :
সমৃদ্ধি অবস্থা শেষে হয়ে যখন অবনতি শুরু হয় সেটা হলো উপরের মোট পরিবর্তন বিন্দু। অবনতি একবার শুরু হলে যতদিন যায় ততদিন তার গতিবেগ বাড়ে। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা হ্রাস পেতে থাকে, বিক্রির পরিমাণ হ্রাস পায়। যেসব বিনিয়োগ ততদিন লাভজনক মনে হচ্ছিল সহসা তা অলাভজনক হতে থাকে। এতদিন বিক্রয় বাড়ছিল, মুনাফা বাড়ছিল বলে যে চড়া সুদের বইতে কষ্ট হয়নি, তখন তা একটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায় যার কারণে মূল্যস্তর হ্রাস পেতে থাকে। যার জন্য মোট আয় ও ব্যয় হ্রাস পেতে থাকে। নতুন বিনিয়োগ ঘটে অতি সামান্য পরিমাণে। পুরাতন যন্ত্রপাতির রদবদল পর্যন্ত করা হয় না। কারণ উৎপাদন কমে যায় বলে অব্যবহৃত উৎপাদন ক্ষমতা এমনিতেই বাড়তে থাকে। অবনতির কালটা শেষ হলে বেশ কিছুদিন একটা পুরো মন্দার অবস্থা চলে। অতপর আসে আবার পুরুকন্নতির দিকে মোড় পরিবর্তন। বাণিজ্যচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো: ক. মন্দা সাধারণত সমৃদ্ধি তুলনায় দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়। খ, পুনরুন্নতি প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শুরু হয়। গ. সমৃদ্ধি সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য জগতে চরম ব্যস্ততা দেখা দেয়। ঘ. সমৃদ্ধির কাল হঠাৎই শেষ হয়।
বাণিজ্য চক্রের কারণ (Causes of Trade Cycles)
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূলত বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলক আয়, উৎপাদন, নিয়োগ, বিনিয়োগ ইত্যাদি দ্বারা পরিচালিত হয়। বাণিজ্য চক্রের কারণ হিসেবে নিচে কতিপয় কারণ উল্লেখ করা হলো:
১. বাহ্যিক তত্ত্ব :
অর্থনৈতিক অবস্থার বাইরের কতকগুলো বিষয়কে বাণিজ্য চক্রের কারণ বলে গণ্য করা হয়েছে। এদের নাম দেয়া হয়েছে বাহ্যিক তত্ত্ব। এদের মধ্যে কোনটিতে যুদ্ধকে, কোনটিতে রাষ্ট্রবিপ্লব ও রাজনৈতিক ঘটনাবলিকে, কোনটি নতুন সোনার খনির বা তেলের খনির আবিষ্কারকে, কোনটিতে জনসংখ্যার বৃদ্ধিতেও এক দেশ থেকে অন্য দেশে আগমন বা গমন কোনটিতে নতুন দেশ ও উপকূলের আবিষ্কারকে, আবার কোনটিতে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিদ্যার বাণিজ্যিক প্রয়োগকে বাণিজ্যচক্রের কারণ বলে গণ্য করা হয়েছে।
২. অভ্যন্তরীণ তত্ত্ব :
কিছু তত্ত্বে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই এমন একটা কার্যকরণ সম্পর্ক রয়েছে যা থেকে বাণিজ্যিক চক্রের আপনা-আপনি উৎপত্তি ঘটে, চলতে থাকে তার খানিকটা নিয়মিত এবং নিরন্তর পুনরাবৃত্তি, প্রতিটি সমৃদ্ধির পর্যায়ের মধ্যেই থাকে পরবর্তী অবনতি ও মন্দার বা পুনরুন্নিতির ও সমৃদ্ধি বীজ। এর নাম দেয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ। তত্ত্ব। কলকারখানার যন্ত্রপাতি পুরানো বা অকেজো হয়ে পড়লে কিছুকাল পর পর তাদের রদবদলের প্রয়োজন নতুন বিনিয়োগের ঘটনা। সে সময়ে নতুন বিনিয়োগের দরুন নিয়োগ ও আয় বাড়ে ফলে শুরু হয় পুনরুন্নতি ও সমৃদ্ধি। আবার যন্ত্রপাতি পুরানো হলে নিয়োগ ও উৎপাদন কমে যায় ফলে অবনতি দেখা দেয়। বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে একবার আশাবাদী আবার নিরাশাবাদী হলে পর্যায়ক্রমে পুনরুন্নতি, সমৃদ্ধি, অবনতি ও মন্দার সূচনা করে ও তাদের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। অর্থনীতি ও রাজনীতির সাহায্যে মোট ব্যয় বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে সরকার। যার কারণে সমৃদ্ধির বা অবনতি দেখা দিতে পারে।
৩. আধুনিক অর্থনীতিবিদগণের মত:
অধিকাংশ আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ মনে করেন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুই কারণে একত্রে বাণিজ্যক চক্রের জন্ম দেয়। আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণ গুলো কেমন নতুন নতুন প্রযুক্তিবিদ্যার উদ্ভাবন ও সেগুলোর বাণিজ্যিক প্রয়োগ, জনসংখ্যা ও ভূখণ্ডের অতিপরিবর্তনশীল বৃদ্ধি এবং কাজ কারাবরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কারবারীদের অবস্থার পরিবর্তনশীলতা। এই কারণে এগুলোর সাথে মিলে বিনিয়োগের স্তরে প্রাথমিক পরিবর্তন ঘটায় যা পরে পুঞ্জীভূত আকারে ও বহুগুণে হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। স্বল্পকালীন সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগ অংশত দেশের আয় স্তরে ওঠানামা ফল। আবার অংশ কারণ ও বটে। দীর্ঘকালীন সময়ে দেশের মোট আয় বৃদ্ধি পায় বাণিজ্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।
৪. ত্বরণনীতি ক্রিয়া :
দেশের জাতীয় আয় বা উৎপাদনের স্তরের উপর তার প্রয়োজনীয় পুঁজিদ্রব্যের পরিমাণ নির্ভর করে। সে আয় যদি বাড়ে, তাহলেই কেবল বাড়তি পুঁজিদ্রব্যের বা নীট বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দেবে। দেশে দ্রব্য সামগ্রি মোট বিক্রির পরিমাণ বাড়তে শুরু করলে বিনিয়োগ বাড়ে কিন্তু মোট বিক্রির বাড়াটাই শুধুমাত্র নয় মোট বিক্রির পরিমাণ কি হারে বাড়ছে সেটাই মূলকথা। এমন যদি হয় মোট বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে ঠিকই কিন্তু বাড়ার হার ধীরে ধীরে কমছে তেমন ক্ষেত্রে অর্থনীতিতে অবনতি ও মন্দা দেখা দিতে পারে বিপরীত অবস্থায় অর্থনীতি পুনরুন্নতি বা সমৃদ্ধি দেখা দেতে পারে।
৫. গুণক ক্রিয়া :
সমাজের বিনিয়োগ বৃদ্ধির দ্বারা আয়, নিয়োগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। বিনিয়োগের পরিবর্তনের ফলে আয়ের পরিবর্তনের অনুপাতকে গুণক বলে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি তথ্য গুণকের পরিবর্তন কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি পায়। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি দেখা যায় বিপরীতভাবে মন্দা পরিলক্ষিত হয়।
1 Comments
thank you
ReplyDelete